রংপুরের তারাগঞ্জে জামাই-শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে মোহাম্মদ আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে তারাগঞ্জে নিয়ে আসা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। মোহাম্মদ আলীর বাড়ি উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট গ্রামে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ঘটনার পর তিনি পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাবের সহযোগিতায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।
এর আগে ৯ আগস্ট রাতে মিঠাপুকুরের ছড়ান বালুয়া এলাকা থেকে প্রদীপ লাল ও রূপলাল ভ্যান নিয়ে তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে আসছিলেন। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা মোড়ে পৌঁছালে তাঁদের সন্দেহ করে ওই এলাকার লোকজন তাঁদের ভ্যান দাঁড় করান। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রূপলাল ও প্রদীপের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে বোতলে দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় ও কিছু ওষুধ পান। পরে উত্তেজিত জনতা রূপলাল ও প্রদীপকে রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে মারধর করে। এতে এই দুজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১০ আগস্ট রূপলালের স্ত্রী ভারতী রাণী বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই দিন দিবাগত রাতে ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত সোমবার (২৫ আগস্ট) আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।