রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রণোদনার ১৬৭ বস্তা ধানবীজ ও ১২ বস্তা সার উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল রোববার পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। এদিকে এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে (৫০) গতকাল সন্ধ্যায় রংপুর মহানগরীর পরশুরাম থানার পাকারমাথা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার ‘গঙ্গাচড়ায় প্রণোদনার বীজ ও সার জব্দ’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সাংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের পর এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির মধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্নার নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে গঙ্গাচড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহাকে আহ্বায়ক এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরিদুল হক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামানকে সদস্য করা হয়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ইউএনওর দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার নয়ন কুমার সাহা ঢাকায় থাকায় এখন পর্যন্ত এই কমিটি তদন্ত শুরু করতে পারেনি।
অন্যদিকে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডলের নির্দেশে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হককে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত উপপরিচালক শামিমুর রহমান এবং খালেদুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও নাহিদ তামান্না বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার উদ্ধারের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আজ সোমবার গঙ্গাচড়া কৃষি অফিস তদন্তে আসেন রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হকসহ কমিটির তিন সদস্য। এ সময় কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘আমাদের তদন্ত আজ থেকে শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল আলমগীরকে রংপুর নগরীর পাকারমাথায় তাঁর ছেলের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’