কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। আজ শুক্রবার সকাল থেকে জেলার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি নামায় স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের।
আজ শুক্রবার স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুপুর ১২টার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধরলা ছাড়া কুড়িগ্রামের সব কটি নদ-নদীর পানি কমেছে। দুধকুমার নদের পানি গত ১৮ ঘণ্টায় (গতকাল সন্ধ্যা ৬টার পর) পাটেশ্বরী গেজ স্টেশনে ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষ বলছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া ও চিলমারী গেজ স্টেশনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যথাক্রমে বিপৎসীমার ৫৫ ও ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধরলার পানি রাতভর কিছুটা বাড়লেও দুপুরে কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমছে তিস্তার পানি।
পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪-২৫ জুন থেকে পানির সমতল হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বন্যার সম্ভাবনা নেই বলে পাউবো প্রকাশিত পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মামুন। দুধকুমার নদের পাড়ে বেড়া ওঠা তাঁর। নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কমে যাওয়া স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, নদ-নদীর পানি কমছে। সার্বিক অবস্থার ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সহায়তা বিতরণ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। যেভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে সেটা স্বাভাবিক। নদ-নদীর পানি কমার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বড় বন্যার পূর্বাভাস নেই।’