কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অজ্ঞাতনামা সদস্যদের আসামি করে রৌমারী থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিহত যুবকের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার। এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, বিএসএফের গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছেন।
এদিকে, গতকাল সোমবার বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছে বিএসএফ। নিহত মানিক মিয়া (৩০) বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মানিক মিয়া তাঁর কয়েকজন সহযোগীসহ সীমান্তে গিয়েছিলেন। বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মানিক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। পরে আইনি জটিলতা এড়াতে মানিকের সহযোগী ও পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে যান। পরদিন দুপুরে পার্শ্ববর্তী বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামে মানিকের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এজাহারের বরাতে ওসি রূপ কুমার সরকার জানান, বাদীর বাড়ির একটি গরু হারিয়েছিল। মানিক মিয়া শনিবার গভীর রাতে তাঁদের বাড়ি থেকে ৩০০ গজ পূর্বে সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সেই গরু খুঁজতে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মানিক নিহত হন।
ওসি বলেন, অজ্ঞাতনামা বিএসএফ সদস্যদের আসামি করে নিহতের বাবা মামলা করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ গুলি করার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে রৌমারী সীমান্তের দায়িত্বে থাকা জামালপুর বিজিবি–৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, ‘পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, তাঁদের সীমানায় সন্দেহভাজনদের অনুপ্রবেশের কারণে তাঁরা গুলি ছুড়েছেন। গুলির ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।’