পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলে ডামি ফুয়েল লোডিং এর কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে প্রায় দুই সপ্তাহ।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রযুক্তি করপোরেশন রসাটমের প্রকৌশল শাখা আজ বুধবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৬৩টি ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি এবং ১১৫টি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন সিস্টেম এবজরবার রড লোড করা হবে। ডামি ফুয়েলের সাহায্যে রি-অ্যাক্টরের সব প্যারামিটার যাচাই নিশ্চিত হওয়ার পর প্রকৃত জ্বালানি ভরা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট, এটমটেক এনার্গো এবং রসএনার্গো এটমের বিশেষজ্ঞরা।
আকার, আকৃতি, ওজন, ম্যাটেরিয়াল বিবেচনায় ডামি জ্বালানি ভরা এবং আসল জ্বালানি ভরার কাজ একই রকম। তবে ডামি জ্বালানির ক্ষেত্রে কোনো পারমাণবিক জ্বালানি থাকে না। এই জ্বালানি ভরার কাজ শেষে রি-অ্যাক্টরের সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড এবং হট টেস্ট করা হবে। এই পরীক্ষাগুলোর সফলতার ওপর নির্ভর করে রি-অ্যাক্টরের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অপারেশন।
এতমএনার্গো-বাংলাদেশ শাখার পরিচালক ডেনিস মাজলভ বলেন, ‘ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোডিং এর কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। রিফুয়েলিং মেশিনের সাহায্যে রিয়্যাক্টরে একটি ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোডিং এ গড়ে ২৫ মিনিটের প্রয়োজন হয়। ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোডিং এর পর আমরা সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড এবং হট টেস্টের জন্য রিয়্যাক্টরকে প্রস্তুত করব।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর। যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।