নওগাঁর পাটিচড়া গ্রামে সরকারি নির্দেশনা মেনে মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে একাধিক জামাত করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। একটি মাত্র জামাতে গাদাগাদি করে ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নামাজ আদায় করা হয়েছে। এতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা।
আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে পশ্চিম পাটিচড়া গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একটি মাত্র জামাতে গাদাগাদি করে ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নামাজ আদায় করা হয়েছে। এ সময় অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক।
নামাজ পড়তে আসা শাকিল হোসেন নামে এক যুবক বলেন, গ্রামের মানুষদের জন্য অনেক বড় একটি ঈদগাহ ময়দান থাকলেও এক সাথে গাদাগাদি করে মসজিদে নামাজ পড়তে হলো। যেহেতু একটি মাত্র জামাত হয়েছে তাই আমাকেও গাদাগাদি করেই নামাজ পড়তে হয়েছে। যদি ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়া যেত তাহলে ৬ ফুট দূরত্বে দাঁড়ালেও পুরো মাঠ পূরণ হতো না।
রিয়াদ হোসেন নামে একজন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদেই জামাত হয়েছে। কিন্তু একটি মাত্র জামাত হওয়ায় মানুষজন গাদাগাদি করে নামাজ আদায় করেছেন। সেখানে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। যদি ঈদগাহ মাঠে জামাত করা হতো তাহলে এমন গাদাগাদি করে জামাত করতে হতো না। ময়দানে নামাজ আদায় হলে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হতো।
রিয়াদ হোসেন আরও বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন গ্রামে এসেছেন। এভাবে নামাজ আদায় করায় এখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাটিচড়া জামে মসজিদের ইমাম মাসুম বিল্লাহ জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহ ময়দানের বিকল্প নেই। মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি জামাতে নামাজ আদায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।