চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জাতীয় শোক দিবস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার শিবিরের সাবেক এক নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে আহতকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোলাহাট মোহবুল্লাহ কলেজ গেটে এ মারধরে ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। মারধরে আহত যুবক হলেন—সোহেল রানা। তিনি ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন—‘জীবনের শেষ মুহূর্তে আল্লামা সাঈদি (রঃ) এর পরিবারের সদস্যদের পর্যন্ত কাছে যেতে দেয়নি হায়েনারা, ঢাকায় একটা জানাজা পর্যন্ত পড়তে দেয়নি, এবার চিন্তা করে বলুন যে,৭৫ ’র ১৫ আগস্ট কতটা জরুরি ছিল!’
হত সোহেল রানার স্বজনেরা বলছে, ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সোহেল রানাকে মারধর করেছেন। এলোপাতাড়ি মারধর ও লাঠির আঘাতে তাঁর মাথা ফেটে গেছে। শরীরের অন্যান্য স্থানেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক শ্রী আশিষ কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহেলের মাথায়, দুই চোখে ও হাতে আঘাত লেগেছে। তবে চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেসবুকে সোহেল রানা ১৫ আগস্ট নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেন। তাঁর স্ট্যাটাসে আরেকটি ১৫ আগস্টের ইঙ্গিত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছে। এমন স্ট্যাটাস দিয়ে সোহেল রানা গর্হিত কাজ করেছে।’
ভোলাহাট পূর্ব বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. সামাউন বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি আমরা শুনেছি। সোহেল রানা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।’
এ বিষয়ে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারধরের ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।’