বগুড়ার বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র ইসলামি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অপারেশন করা রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে। এতে রোগীর অবনতি হওয়ায় পুনরায় অপারেশন করে গজ বের করা হয়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজন সোনাতলা উপজেলার নিত্যনন্দনপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন।
গত রোববার করা লিখিত অভিযোগে হেলাল বলেন, ‘গত বছরের ২১ অক্টোবর আমার ছোট বোন সাহার বানু শিরিন কে পিত্তথলি অপারেশনের জন্য ইসলামি হাসপাতালে ভর্তি করাই। ওই দিন সন্ধ্যায় ডা. মিজানুর রহমানের (সার্জন) নেতৃত্বে সাহার বানুকে অপারেশন করা হয়। অপারেশন পরবর্তী ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সাহার বানুকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে আসার পর তিনি পেটে ব্যথা, বমি ও জ্বর অনুভব করেন। দিন দিন সাহার বানুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দীর্ঘদিন পর গত ১৬ মার্চ ঢাকায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পুনরায় অপারেশন করলে সাহার বানুর পেট থেকে গজ বের করা হয়। এ বিষয়ে ভিডিও ফুটেজও রয়েছে। এখনো সে আশঙ্কামুক্ত নয়।’
ইসলামি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, আমাদের কাছে এ রকম অভিযোগ কেউ করেনি, সিভিল সার্জন অফিস থেকেও কিছু বলা হয়নি। সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে যোগাযোগ করা হলে আমরা সেখানে জবাব দেব।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা অভিযোগদাতাকে বলেছি হাসপাতালে ভর্তির কাগজ, রশিদ কিংবা ছাড়পত্র আমাদের কাছে জমা দিতে যেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি ওই হাসপাতালে সেবা নিয়েছেন কি না। তিনি কাগজপত্র জমা দিলে সেই অনুযায়ী তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেব।