মাজেদা খাতুন ও সোবাহান প্রামাণিক দম্পতির ছেলে সন্তান নেই। ১৮ বছর আগে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বয়োবৃদ্ধ সোবাহান প্রামাণিক ঠিকমতো কাজ করতে পারতেন না। কী করবেন ভেবে না পেয়ে স্টেশনের পাশে একটি চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন মাজেদা।
এরপর থেকে নিজের সংসারের ঘানি টেনে ধীরে ধীরে সচ্ছলতার মুখ দেখতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁর মনে উঁকি দেয় তিনি মহিলা মেম্বার হয়ে মানুষের সেবা করার। সেই ইচ্ছা থেকে দুবার নির্বাচন করে অল্প ভোটে হেরে যান। তবুও দমে যাননি তিনি। অবশেষে তৃতীয়বার নির্বচন করে পেলেন সফলতার মুখ।
আলাপকালে মাজেদা খাতুন জানান, তাদের সংসারে ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ে হোসনে আরা রতনা ও ফরিদা পারভীনকে ১৮ বছর আগে বিয়ে দিয়েছেন। মেয়েদের বিয়ের পর থেকে একা হয়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। বয়োবৃদ্ধ স্বামী সোবাহান প্রামাণিক কাজকর্ম তেমন করতে পারতেন না। সবার পরামর্শে চাটমোহর রেলস্টেশনের পাশে একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে শুরু করেন চা বিক্রি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ৫ থেকে ৬ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান।
ইউপি সদস্য মাজেদা খাতুন বলেন, মানুষের এই ভালোবাসার প্রতিদান আমি দিতে চাই। গ্রামের অবহেলিত নারীদের পাশে থেকে আমার সাধ্য অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করব। তবে আমার যে চা বিক্রির ব্যবসা, সেটি আমি বন্ধ করব না। সকল কার্যক্রম শেষ করে সময় পেলেই আমি চা বিক্রি করব।
মাজেদা খাতুনের দুই মেয়ে হোসনে আরা রতনা ও ফরিদা পারভীন জানান, তাদের মা অনেক কষ্ট করেছেন। সব সময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। তিনি মহিলা মেম্বার হওয়ায় তাঁরা খুব খুশি।