বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের আগাম শাকসবজি চাষে বৃষ্টির বাগড়ার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। বেশ কিছু দিন ধরে কখনো থেমে থেমে আবার কখনো লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে এ উপজেলা জুড়ে। এ কারণে জমিতে পানি জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকদের কষ্টের শাকসবজি। খেতে পানি জমায় শাকসবজির গোড়ায় পচন রোগ দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া ছত্রাক আক্রমণ করছে শাকসবজির চারায়। প্রতিরোধক হিসেবে কীটনাশক স্প্রে করেও ভালো ফলাফল পাচ্ছেন না কৃষকেরা। কীটনাশক স্প্রে করলেও বৃষ্টির পানিতে তা ধুয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, এ উপজেলায় কম-বেশি প্রতিটি গ্রামের কৃষক শাকসবজির চাষ করলেও সবচেয়ে বেশি শাকসবজির চাষবাদ করেন হাটকড়ি, ত্রিমোহানী, ধুন্দার, কাথম, বাদলাশন ও বিজরুল এলাকার কৃষকেরা। এসব এলাকার কৃষকেরা আগাম শাকসবজি হিসেবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শিম, টমেটো, লাউ, বেগুন, বরবটি ও কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির চাষবাদ করেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলায় শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমিতে। এবার বেশ কিছু জমিতে খরপি-২ মৌসুমে শীতের আগাম শাকসবজি চাষ করা হয়েছে।
বাদলাশন গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, `আমি ৬ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ, দেড় বিঘা জমিতে বেগুন ও দেড় বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেছি। আর ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করব। বৃষ্টির কারণে জমি তৈরি করতে পারছি না। টানা বৃষ্টির কারণে সব খেতেই কিছু চারা নষ্ট হয়েছে।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে সবজিচাষিদের খুব ক্ষতি হবে না। কৃষকদের জন্য পরামর্শ বৃষ্টি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমি থেকে পানি বেড় করে দিতে হবে। আর চারাগাছে ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। নষ্ট হওয়া গাছ তুলে ফেলে ওই স্থানে নতুন করে গাছ লাগাতে হবে।