সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পঞ্চম শ্রেণি পাস যুবলীগ নেতা হলেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির (এডহক) সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কমিটি বাতিল চেয়ে জনস্বার্থে সরকারের একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল কুদ্দুস নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের রোকনপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রোকনপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চার মাস আগে পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। কমিটির মেয়াদ শেষে এডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল জলিল। এলাকায় অনেক শিক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তি থাকার পরও সুপার স্বেচ্ছাচারিতা করে অনিয়মের মাধ্যমে এডহক কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে তালম ইউনিয়নের বড়ই চড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর (মৃত) ছেলে মো. আলামিন কাওসারকে সভাপতি করা হয়েছে। আলামিন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি পাস।
আলামিন কাওসারকে এডহক কমিটি থেকে বাদ দিয়ে যোগ্য ও শিক্ষিত লোককে সভাপতি করার দাবি জানিয়ে গতকাল রোববার ইউএনও এবং শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস। এ ছাড়া আলামিন কাওসার পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুবলীগ নেতা আলামিন কাওসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নবম শ্রেণি পাস করেছি। এখন দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করছি।’
এ দিকে অনিয়ম করে এডহক কমিটি গঠনের অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘এডহক কমিটি বিধি অনুসরণ করেই গঠন করা হয়েছে।’
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফকির জাকির বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুবলীগ নেতা আলামিন কাওসারের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।