রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে গঠিত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। গতকাল মঙ্গলবার ছিল প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর। গত ১৩ মার্চ বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল সেই কমিটির।
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য বলেছেন, ‘যেহেতু এটি একটি বড় ঘটনা; আমাদের তদন্ত করতে সময় লাগছে। তবে তদন্ত থেমে নেই। দ্রুত গতিতে তদন্তকাজ এগিয়ে চলছে। আশা করছি আগামী দু-চার দিনের মধ্যেই তদন্তকাজ শেষ হবে।’
নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন কেন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তদন্ত কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানার জন্য সহ উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
এর আগে ১১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক বাসচালকের বাগ্বিতণ্ডার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আহত হন আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী। একটি পুলিশ বক্স ও রাস্তার ধারের অন্তত ১০টি দোকান ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্তত ২০টি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে ১২ মার্চ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা চারুকলা সংলগ্ন রেললাইন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ করে সড়ক অবরোধ করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিনটি পৃথক অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।
সংঘর্ষের দুদিন পর ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য হুমায়ুন কবীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর তারিকুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রশিদ সরকার ও সিন্ডিকেট সদস্য মো. শফিকুজ্জামান জোয়ার্দ্দার।