বগুড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় সুমাইয়া আকতার (২০) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ট্রেনে কাটা পড়ে মিলন (৩৫) নামের এক যুবকের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালায় এবং গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বগুড়া রেলস্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমাইয়া আকতার গাবতলী উপজেলা নাড়ুয়ামালা গ্রামের শামিম আহম্মেদের স্ত্রী এবং মিলন গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার শিমুল তাইড় গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন সরকার জানান, রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সুমাইয়া আকতার। এ সময় বোনারপাড়া থেকে সান্তাহারগামী কলেজ ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন দেখতে না পারায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বগুড়া রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি নেয়। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় এক যুবক চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাত ফসকে ট্রেনে নিচে কাটা পড়েন। এতে তাঁর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবক রেলওয়ে স্টেশনে ভবঘুরে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।