হোম > সারা দেশ > নওগাঁ

রাজু ভাস্কর্যের সামনে উড়ছে নওগাঁর ইরা

সিয়াম সাহারিয়া, নওগাঁ থেকে

রাজু ভাস্কর্যের সামনে পাখির মতো শূন্যে উড়ছেন নৃত্যশিল্পী ‘মুবাশশীরা কামাল ইরা’। ইউরোপীয় ব্যালে নাচের মুদ্রায় তোলা তাঁর বেশ কিছু ছবি এখন ভাইরাল। ইরার জন্মস্থান নওগাঁয়। ছবিগুলো যখন চারদিকে আলো ছড়াচ্ছে, ইরা তখন বাড়িতে বসেই মিডিয়া সামলাচ্ছেন। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মেয়েকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাঁর মা-বাবা। 

সম্প্রতি ইরার ছবিগুলো তোলেন ক্যানসারে আক্রান্ত নারী ফটোগ্রাফার জয়িতা আফরিন। মূলত ব্যালে নাচের ধরনে ছবিগুলো তোলা হয়। ইরার বাড়ি নওগাঁর সদর উপজেলার বিজিবি ক্যাম্প এলাকার বটতলা মোড়ের পাশে। তিনি স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবু হায়াৎ মোহম্মদ কামালের তৃতীয় কন্যা। 

জানা গেছে, ইরার অনুশীলন ও বেড়ে ওঠা নওগাঁয়। তিনি নওগাঁ সীমান্ত পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ-৫। এখন লেখাপড়া করছেন নওগাঁ সরকারি কলেজে। প্রথমে নওগাঁয়, পরে ঢাকায় ভরতনাট্যম শিখেছেন। তবে লকডাউনের সময় ঘরে বসেই শিখতে শুরু করেন ব্যালে নৃত্য। 

মুবাশশীরা কামাল ইরা বলেন, ‘মূলত একটা নৃত্য উৎসবে ঢাকায় গিয়েছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই জয়িতা আপুর সাথে ছবি তোলা হয়। আর আমি যেহেতু নৃত্য করি, সেই জায়গা থেকেই এ ধরনের ছবিগুলো তোলা হয়। তারপর সেগুলো ফেসবুকে দেওয়ার পর অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এখন সারাক্ষণ বিভিন্ন টিভি ও পত্রিকা থেকে আমার সাথে যোগাযোগে করা হচ্ছে। ওটা নিয়েই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।’ 

ইরা আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি অন্যরকমের একটা ভালোবাসা ছিল। নাচের মধ্য দিয়েই আমি কিছু করতে চাই। সামনে নাচ নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে আসে। সেটা যদি দেশের বাইরে হয়, তাহলে তো ভালো হয়। দেশীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি ব্যালে নাচে নতুন কিছু করার ইচ্ছেও আছে।’ 

ইরার মা ফাহমিদা কামাল বলেন, ‘ছোট থেকেই নাচ ভালোবাসে ইরা। নাচের প্রথম হাতেখড়ি স্থানীয় সুলতান মাহমুদের কাছে। নাচে ইরার অনেক অর্জন আছে। পড়ালেখা আর নাচের পাশাপাশি জিম, স্কেটিং, টেনিস ও ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে।’ তবে প্রথম দিকে ইরার নাচ নিয়ে পরিবার থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এখন অবশ্য সবাই তাকে সহযোগিতা করে। 

ইরার বাবা আবু হায়াৎ মোহম্মদ কামাল বলেন, ‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে ইরাকে আগে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। নাচের পাশাপাশি ভালোভাবে পড়ালেখা করার কথা বলি। আমি আশা রাখি আমার মেয়েটা সফল হবে। কারণ ওর ইচ্ছেশক্তি অনেক। মেয়েকে নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।’ 

ফটোগ্রাফার জয়িতা আফরিন বলেন, ‘আইডিয়াটা আসলে আমার অনেক দিন ধরেই ছিল যে ঢাকার রাস্তায় ইরাকে নিয়ে কাজ করার। টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ব্যানার দেখে মাথায় আসে যে এটা এভাবে এখন করা যেতে পারে। সেটাই করা হয়।’ 

জয়িতা আরও বলেন, ‘সবাই যখন শুধু সাফল্য দেখছে এবং অভিনন্দন জানাচ্ছে আমাকে, কিন্তু এর পেছনে আমার যুদ্ধের গল্প হয়তো অনেকেই জানে না। ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে অনেক গল্প, প্রশংসা হচ্ছে। আমি এই সাফল্য উৎসর্গ করলাম সব ক্যানসারে আক্রান্তদের জন্য। কারণ আমি নিজে গত বছর থেকে ক্যানসারের সাথেই যুদ্ধ করছি।’ 

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী

রাজশাহীতে প্রাথমিকের শতভাগ বই পৌঁছেছে, বিদ্যালয়গুলোতে যাচ্ছে নতুন বই

রাবি অফিসার সমিতি নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের নিরঙ্কুশ জয়, জামায়াতপন্থীদের ভরাডুবি

বিএনপিতে বিরোধ: রাজশাহীর ৪টি আসনে কোন্দল প্রকাশ্যে

তিনটি গরুর সঙ্গে মোটরসাইকেলের তেলও নিয়ে গেছে চোরেরা

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিএনপির নেতা-কর্মীদের বহনে পশ্চিমে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন

চোর সন্দেহে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন: মবের ভুক্তভোগীকে জেল, হাসপাতালে মৃত্যু

কাজ করার পরেও ডিস্টার্ব করতে আসলে ১, ২, ৩, ৪ করে দেব: জিএস আম্মার

‘ছাত্রদল আপনার মতো আম্মারকে ৩০ মিনিটে বের করে দিতে সক্ষম’, ভিডিও ভাইরাল

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রদ্যুৎ কুমার