পাবনার চাটমোহরে পৃথক স্থানে দুজন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর পশ্চিমপাড়া গ্রাম ও দোলং গ্রামে রাতে এ দুটি ঘটনা ঘটে।
রামনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নিহত লামিয়া খাতুন (১৫) উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের আবু বকর সিদ্দিকীর মেয়ে। সে স্থানীয় এক মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে মা–বাবা পড়ালেখা নিয়ে লামিয়াকে বকাবকি করে। তাদের ওপর অভিমান করে সবার অগোচরে ঘরে রাখা কীটনাশক পান করে লামিয়া। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, একই ইউনিয়নের দোলং গ্রামের মোক্তার হোসেন (২৫) নামের এক যুবক কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ওই এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোক্তার। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে জানান, এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।