বদলগাছী (নওগাঁ): নওগাঁ বদলগাছী উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগকারীকে সালিসের মাধ্যমে বিচারের আশ্বাস দেন মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু। কিন্তু বিভিন্ন তারিখ দিয়ে হয়রানি করেন বলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ভুক্তভোগীর পরিবার। বিচার না পেয়ে অবশেষে ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী। মামলার পর আসামিকে আটক করে থানা-পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও থানা সূত্রে জানা যায়, মথুরাপুর ইউপির জগৎনগর কলকুঠি গ্রামের নজিবর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (৩৬) ২৯ মে সকাল আনুমানিক ৭টায় ওই গ্রামের এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে আব্দুল করিম পালিয়ে যায়। এর বিচার চেয়ে ওই দিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপুর কাছে যায় ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবার। ইউপি চেয়ারম্যান তাদের সুষ্ঠু বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর বিভিন্ন তারিখ দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ করে বলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
গত বুধবার (৯ জুন) দুই পক্ষকে নিয়ে সালিসে বসেন চেয়ারম্যান। কিন্তু কোনো মীমাংসা না করেই তাঁদের (ভুক্তভোগীর পরিবার) ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে বিচারের আশায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) আব্দুল করিমকে আসামি করে বদলগাছী থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন।
এ বিষয়ে মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু বলেন, আমি দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় বিচার করতে পারিনি। তবে বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখে বিচার করে দিতে চেয়েছিলাম। `আপনি কি ধর্ষণচেষ্টার বিচার করতে পারেন' এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ওসি আতিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণচেষ্টার সালিস করার এখতিয়ার কোন ইউপি চেয়ারম্যানের নেই। থানায় অভিযোগ পাওয়া মাত্র অভিযুক্তকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।