বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে খানিকটা। আমরা আরও বিচার চাই। বাইরে থাকা অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হোক। যারা মারা গেছে, যেমন খন্দকার মোশতাক সে তো বেঁচে নেই অথবা জিয়াউর রহমান, ধরে নিই যারা ইনডেমনিটি জারি করেছিলেন তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সে ক্ষেত্রে আমার দাবি তাদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। আমরাতো মরণোত্তর পুরস্কার দিচ্ছি। সেই ক্ষেত্রে মরণোত্তর তিরস্কার করা যেতে পারে।'
গতকাল রোববার সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশে একটি স্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানিয়ে অধ্যাপক আব্দুল খালেক আরও বলেন, সৌদি আরবে যারা হজ করতে গিয়েছেন তারা দেখেছেন সেখানে বড় ও ছোট শয়তানকে পাথর মারার জন্য স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। ঠিক আমাদের দেশেও এমন স্তম্ভ তৈরির দাবি জানাই। যাতে করে পরবর্তীতে প্রজন্ম সেখানে গিয়ে জুতা মেরে এই খুনিদের ঘৃণা প্রকাশ করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আরেক উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দীন। আলোচনা সভা শেষে রাবি টিএসসিসি নির্মিত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে দিবসের শুরুতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় রুটিন দায়িত্বে নিযুক্ত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল, সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা এবং শহীদ মিনার চত্বরে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।