রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আকরাম আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার হোতা নান্টুসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে র্যাব-৫-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মহানগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু মিয়া (২৮) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে খোকন মিয়া (২৮)। এর মধ্যে অভিযুক্ত নান্টু মিয়া এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। আর খোকন মিয়া এই মামলার ৩ নম্বর আসামি।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের তথ্য তুলে ধরেন র্যাব-৫-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। তিনি জানান, এর আগে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নওগাঁ সদরের রামরায়পুরের আড়পাড়া থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫-এর একটি দল।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার পরে কোনো আত্মীয়স্বজনের বাসায় না গিয়ে গোপনে তাঁরা ভ্যানযোগে নওগাঁর উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর ভ্যানচালকের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাঁরা রাতে আশ্রয় নেন। গভীর রাতে নওগাঁ সদরের রামরায়পুরের আড়পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে আসামিদের বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকা থেকে রুমেল (২৫) নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ। রুমেল তালাইমারী এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে। তিনিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জান গেছে, মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় বাবা আকরাম আলীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বখাটেদের এই হামলার সময় তার ছেলে ইমাম হাসান অনন্তও আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের ভর্তির পর আকরাম আলীর মৃত্যু হয়। তিনি রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য এবং পেশায় বাসচালক ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।