রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ‘বামদের মধ্যেও শিবির ঢুকে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাবির পরিবহন মার্কেটসংলগ্ন আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি রাবি এমন একটি ক্যাম্পাস, যেখানে বামদের মধ্যেও শিবির ঢুকে গেছে। তারা অন্য সংগঠনের পদ নেবে, কিন্তু তারা শিবির নেতা। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে এমন নজির নেই। ৫ আগস্টের পর যত নারী বুলিংয়ের শিকার হয়েছে, কমেন্ট সেকশন থেকে তাদের আইডির ঘেঁটে দেখলেই বোঝা যায় তাঁরা কোন আদর্শে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে যত জনসংখ্যা আছে, তার থেকেও শিবিরের বট আইডির সংখ্যা বেশি।’
ছাত্রদলের এ নেতা বলেন, ‘প্রকাশ্যে রাজনীতি করা যাবে না, এমন রাজনৈতিক ইশতেহার যদি তাদের না থাকত, তাহলে বোঝা যেত তাদের সঙ্গে কতসংখ্যক রাজনীতি করছে। যেহেতু নেই, সেহেতু তারা বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। যার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, তাকেও শিবির সুকৌশলে অনুপ্রবেশ করিয়েছিল কি না সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
ছাত্রদল নেতার এসব মন্তব্যের ব্যাপারে শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে কোনো তথ্যপ্রমাণ থাকলে উপস্থাপন করুক। আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। কিন্তু মনগড়া বক্তব্য কিংবা দায় দিয়ে দেওয়া রাজনীতি মোটেও কাম্য নয়। বরং ওনার অভিযোগ বাস্তবে আমরা ছাত্রদলের মধ্যে দেখতে পাই। মেয়েদের বুলিং, ট্যাগিং, বডি সেমিং থেকে শুরু করে বিরোধী পক্ষকে কটাক্ষ করা এবং নিজ দলের পক্ষে ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর জন্য শুধু জিয়া বট ফোর্সের সদস্যরাই নয়, ভিয়েতনামি, শ্রীলঙ্কা, মালেশিয়ান আইডিও দেখতে পাই।’
অন্যদিকে বামদের ভেতরেও শিবির ঢুকেছে এমন মন্তব্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল ফেসবুকে লেখেন, ‘ক্যাম্পাসে মোটামুটি আটটা বাম ও বামঘেঁষা ছাত্রসংগঠন সক্রিয় আছে। ছাত্রদলকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে সুনির্দিষ্ট কোন বাম সংগঠনে শিবির ঢুকেছে। অন্যথায় এই ধরনের ঢালাও অপবাদের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।