রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, প্রায় তিন দিন তাঁদের বিভিন্ন দফায় র্যাগ দেওয়া হয়। প্রথম দিন সিনিয়ররা জুনিয়রদের কাছ থেকে ১০-১৫ বার করে পরিচয় নেন। পরিচয় সঠিক হওয়ার পরেও তাঁরা নানাভাবে ব্যঙ্গ করে কথা বলেন। ১০ রকমের হাসি দিতে বলা হয়। তাঁদের মারার হুমকি দেন এবং বারবার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কোনো সনাতন ধর্মাবলম্বী কেউ যদি সালাম দেন, তাহলে তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
আজ তাঁদের আবার র্যাগ দেওয়া হয়। দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তাঁদের বৃষ্টিতে বসিয়ে রাখা হয়। এ সময় তাঁরা না খেয়ে ছিলেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে তাঁদের ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রথম দিন রাত ২টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমাদের নানা ধরনের হেনস্তার শিকার হতে হয়। এ সময় আই কন্টাক্ট, হাতের ইশারা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও পরিচয়কে কেন্দ্র করে আমাদের বিরক্ত করা হয়। পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও সহ্য করতে হয়েছে।’
একই বিভাগের ভুক্তভোগী আরও এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘৩ সেপ্টেম্বর রাতে মণ্ডলের মোড়ের একটি মেসে ১৮ থেকে ২০ জন ইমিডিয়েট সিনিয়র আমাদের দাঁড় করিয়ে পরিচয়পর্বের নামে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। এ সময় আমাদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা, অশ্লীল গান ও গল্প বলতে বাধ্য করা হয় এবং সমকামী ট্যাগ দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলব এবং অভিযুক্ত ২০২৩-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলব। আজকে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি তাদের হাতেনাতেই ধরেছি। অবশ্যই তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’