টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগে নাটোর সদর উপজেলার চন্দ্রকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি নাটোর সদর উপজেলার চন্দ্রকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির দুই ছাত্র ও এক ছাত্রী ভিডিও তৈরি করে টিকটকে প্রকাশ করে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে বিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। আজ রোববার সকালে এ খরর ছড়িয়ে পড়লে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের স্টাফ রুম ভাঙচুর করে।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
তবে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের পরিবারের অভিযোগ, টিকটকের বিষয়ে তাদের অবহিত না করেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান বলেন, ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিতে শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিরাও আছেন। হয়তো তারা সকলে একমত হয়েছেন যে, শিক্ষার্থীদের টিকটক করাটা ভালো হয়নি। তাই এমন সিদ্ধান্ত। তবে এখানে সভাপতির একক সিদ্ধান্তে কিছু হয়নি। এটি পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বুলবুল আহমেদ বলেন, যে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা আগেও প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেছে। তারা মারপিট, বখাটেপনা–এমনকি ছাত্রী উত্ত্যক্তের মতো ঘটনার সঙ্গেও জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। টিফিন পিরিয়ডে বিদ্যালয়ের ভেতর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে টিকটক বানানোই শুধু নয়, তাদের পূর্বের অপরাধগুলোরও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটি সভাপতির একার সিদ্ধান্তে হয়নি, পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ম অনুযায়ী বহিষ্কার করা হয়নি। তাই তাদের আবার ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।