সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীরা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর জমা দিয়ে হাতে লেখা টিকিট কিনেছেন। এ রেলওয়ে স্টেশনে কম্পিউটার মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিস্টেম না থাকায় হাতে লেখা টিকিট বিক্রি করছেন বুকিং সহকারী জুলহক আলী।
আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের কয়েকজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দিয়ে হাতে লেখা আন্তনগর ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করছেন।
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নেওয়া আব্দুস সোবাহান সরকার (৭৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের জন্য ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়ে দুটি টিকিট ক্রয় করলাম। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া ট্রেনের টিকিট দেবে না। এ জন্য আমি স্টেশনের বুকিং সহকারীকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিয়েছি।’
শাপলা নামের ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, ‘ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বা ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া যে টিকিট ক্রয় করা যাবে না এটা আমার জানা ছিল না। কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এটাও জানি না। স্টেশন থেকে আমাকে ভোটার কার্ড ছাড়া টিকিট দিতে চাইনি। বুকিং সহকারীকে সমস্যার বিষয়টি বোঝানোর পরে শুধু এনআইডির নম্বর দিয়েছি এরপর তারা আমাকে একটি টিকিট দেন।’
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের সূত্রে জানা যায়, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন পাঁচটি ট্রেন আপ-ডাউন করে। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ঢাকার জন্য ১০টি ও রাজশাহীর জন্য ১০টি সিট বরাদ্দ রয়েছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার জন্য ১০টি ও খুলনার জন্য ৫টি সিট বরাদ্দ রয়েছে। দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার জন্য ৭টি, পঞ্চগড়ের জন্য ৫টি ও দিনাজপুরের জন্য ১০টি সিট বরাদ্দ রয়েছে। ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজশাহী জন্য শুধু ১০টি সিট বরাদ্দ রয়েছে এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার জন্য চেয়ার ও সাধারণ চেয়ারসহ মোট ৪০টি সিট বরাদ্দ রয়েছে।
জুলহক আলী আরও বলেন, অনেক যাত্রী বিষয়টি জানে না। মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে আর তাদের বলা হচ্ছে পরবর্তীতে যেন রেজিস্ট্রেশন করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করেন। কম্পিউটার মাধ্যমে টিকিট বিক্রির জন্য কর্তৃপক্ষ ৭ দিনের টিকিটের সামারি নিয়েছে আশা করছি চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে কম্পিউটার সিস্টেম চালু হবে।