পাবনার সাঁথিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আরমান হোসেন (২৭), তিনি উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আরমান হোসেন বিভিন্ন সময় ওই ভুক্তভোগীকে সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিত। সে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হুমকি-ধমকি দেয় আরমান। নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় একপর্যায়ে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গ্রাম প্রধানদের আশ্বাসে সে আবার স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২২ সালের ১৯ জুন সকাল ওই ভুক্তভোগী বাড়ি থেকে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় আগ থেকে ওত পেতে থাকা আরমান তাকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ ও পরে ধর্ষণ করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পাওয়াতে পরিবার পুলিশের শরণাপন্ন হন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার চার দিন পর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের শেষের দিকে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) এ রায় দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেওয়াতে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আপিলে ন্যায়বিচার পাব।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবনা জজকোর্টের বিশেষ পিপি খন্দকার আব্দুর রকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার দুই বছরের মাথায় রায় ঘোষণা হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। যাবজ্জীবন সাজা হওয়াতে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে। তবে এখানে সাজা কমে যাওয়ার সুযোগ নেই।’