বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন শতবর্ষী খোয়াজ খাঁ। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানান রোগ। লাঠি ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। চোখেও তেমন ভালো দেখেন না। কানে শুনতে পান না বললেই চলে। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কানের কাছে মুখ নিয়ে চিৎকার করে বলতে হয়।
আর্থিক দুরবস্থার কারণে কানে শোনার একটা হেয়ার এইড মেশিন কেনার সামর্থ্য নেই বৃদ্ধ খোয়াজ খাঁর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছেলে হাসিনুর রহমান বেঁচে থাকতে বাবাকে কিনে দিয়েছিলেন হেয়ার এইড মেশিন। ছেলের মৃত্যুর পর সব কিছু উলট পালট হয়ে গেছে। এর মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে হেয়ার এইড মেশিনটিও। প্রায় এক বছর হতে চললো কানে একেবারেই শুনতে পান না তিনি।
গত মঙ্গলবার খোয়াজ খাঁর আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে ‘সংসারের হাল ধরার সামর্থ্য নেই খোয়াজ খাঁর’ শিরোনামে দৈনিক আজকের পত্রিকার অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি দৃষ্টি কাড়ে পাবনার মানবিক সংগঠন বিবৃতি ফাউন্ডেশনের। বিবৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক ইয়াছিন আলী মৃধা বৃদ্ধ খোয়াজ খাঁকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটা হেয়ার এইড মেশিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কথা রেখেছে বিবৃতি ফাউন্ডেশন।
আজ শনিবার দুপুরে পৌরসভার সারুটিয়া মহল্লায় খোয়াজ খাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে বিবৃতি ফাউন্ডেশনের দেওয়া হেয়ার এইড মেশিনটি তুলে দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভীন পাখি। এ সময় বিবৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কলিট তালুকদার, ফটো সাংবাদিক হাসান মাহমুদ।
হেয়ার এইড মেশিনটি পেয়ে যারপরনাই খুশি খোয়াজ খাঁ। তিনি বলেন, আগে আমি কানে কিছুই শুনতাম না। আলহামদুলিল্লাহ, এখন শুনতে পাচ্ছি। আল্লাহ তোমাদের ভালো করুক।