পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের সংঘর্ষে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করে এক যুবক। তাঁর সেই ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে তাঁর নাম জানা যায় তুষার মণ্ডল (২১)।
ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক ছিলেন তুষার। অবশেষে রেহাই পেলেন না তিনি। ঘটনার চার দিনের মাথায় ধরা পড়লেন পুলিশের হাতে।
গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ধানবান্ধি এলাকার জে সি রোডের মতিন সাহেবের ঘাটসংলগ্ন স্থান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।
পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার তুষার ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া মহল্লার আবু তাহেরের ছেলে।
ডিবির ওসি জানান, এ ঘটনায় তুষারের বিরুদ্ধে আজ সকালে ঈশ্বরদী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামে জামায়াত প্রার্থীর একটি নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন। ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে।
সেই সংঘর্ষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যে ভিডিওতে দেখা যায়, তুষার নামের ওই যুবক পিস্তল উঁচিয়ে সামনে থাকা প্রতিপক্ষের দিকে গুলি ছুড়ছেন। তুষার বিএনপি নাকি জামায়াত কর্মী—তা নিয়ে দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া যায়।
এদিকে ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুর নূর গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে জানান, গুলি ছোড়া তুষার জামায়াত কর্মী। তিনি বিএনপির করা মামলার তালিকাভুক্ত ৬ নম্বর আসামি।