পাবনার ঈশ্বরদীতে যাত্রীবেশে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই করা অটোরিকশা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের অটোরিকশা।
আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লক্ষ্মীকুণ্ডার কৈকুণ্ডা গ্রামের মৃত আজাহার সরদারের ছেলে সুমন সরদার (২৬), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে তনিমা খাতুন (১৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের সাহু বিশ্বাসের মেয়ে তনিমা আক্তার তমা (২১) এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল রশিদের মেয়ে আঁখি খাতুন (২০)।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী বাজার থেকে অপরিচিত দুই যাত্রী একটি অটোরিকশা ভাড়া নেন লক্ষ্মীকুণ্ডার বিলকেদার গ্রামে যাওয়ার জন্য। তাঁদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন মেয়ে যাত্রী ছিলেন। অটোচালক হাসান আলী বিলকেদার গ্রামের উদ্দেশে যাওয়ার সময় শহরের রেলগেট বাস টার্মিনাল থেকে তাঁদের আরও দুজন নারী যাত্রী ওই অটোরিকশায় ওঠেন। চালক চারজনকে লক্ষ্মীকুণ্ডায় নিয়ে যান। সেখানে ঘোরাঘুরি করে তাঁরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীকুণ্ডার বেলকাদার ঘোড়ামাড়া এলাকার ফাঁকা মাঠের দিকে যেতে থাকেন। এ সময় অটোর আসনে বসা যাত্রীরা পেছন থেকে চালক হাসান আলীর নাকে-মুখে চেতনানাশক স্প্রে করেন এবং ওড়না দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে রাস্তার ওপর ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, অটোরিকশা খুঁজে না পাওয়ায় মালিক নাজমুল হুসাইন রনি পরদিন মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেন। রনির বাড়ি উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের রেজান নগর গ্রামে।
পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, অভিযোগের বিষয়টি জানার পরপরই পাবনা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ঈশ্বরদীর ওসির নেতৃত্বে একটি পুলিশের বিশেষ দল স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তা ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতভর লক্ষ্মীকুণ্ডার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন নারী ও একজন পুরুষ যাত্রীর আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইয়ের অটোরিকশা। আটকের পর বুধবার থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করে পাবনা আদালতে পাঠানো হয়।