পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় অবৈধ সম্পর্কের জেরে অনৈতিক সম্পর্কের সময় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত কাদের মুন্সীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫৫)। ঘটনার পর সালিসি বৈঠক থেকে নারীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সালামের স্বজনদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী আবু সাইদ আজ শনিবার সাঁথিয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। গণপিটুনির শিকার আব্দুস সালাম অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ওই নারীর (৪০) সঙ্গে আব্দুস সালামের অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার পর সালাম পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ভিডিও ধারণ করে সালামকে আটক করে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে আজাহার আলীর বাড়িতে বিএনপি নেতা মান্নান মুহুরির সভাপতিত্বে সালিসি বৈঠক শুরু হয়, যা চলে ভোর ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে সালিসি বৈঠকে প্রেমিক-প্রেমিকা বিয়েতে রাজি হলেও কিছু বহিরাগত প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও প্রেমিকের স্বজনেরা বাধা দেন। পরে প্রভাবশালী মহল ও সালামের স্বজনেরা সালিসি বৈঠক থেকে ছেলে-মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ওই নারীর স্বামী আবু সাইদ বাদী হয়ে প্রেমিক সালাম ও তাঁর স্বজনদের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণ এবং অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানতে চাইলে সালিসি বৈঠকের সভাপতি বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান মুহুরি বলেন, ‘আমার সভাপতিত্বে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে রাতভর মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু বহিরাগতরা মোটা অঙ্কের টাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সালামের স্বজনদের সহায়তায় নারীকে বৈঠক থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাকে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছি। ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো অনৈতিক সম্পর্ক ঘটেনি।’ সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ‘অপহরণের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’