হোম > সারা দেশ > পাবনা

সাবেক পুলিশ সদস্য হত্যায় মামলা: মুলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৫

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার সুজানগরে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৬০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় মুলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন-প্রধান আসামি উপজেলার জিয়ালগাড়ি ভবানীপুর গ্রামের আশরাফ আলী (৪২), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আকরাম হোসেন (৪০), নাজমুল হোসেন (৩০) ও মনির হোসেন (৫০।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকার বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে হত্যাকাণ্ডের পরে বিকেলে অভিযান চালিয়ে ওই ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। 

প্রসঙ্গত একটি ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন জিয়ালগারী ভবানীপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের আশরাফ আলীর পরিবারের বিরোধ চলছিল। পাশাপাশি বাড়ির সামনে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করেছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন।

এরই জের ধরে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উভয় পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে আশরাফ আলী ও তাঁর লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মতি খন্দকারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।

নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকারের দাবি, অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তিনি পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হামলাকারীরা আশরাফ বাহিনী। জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তার বাবকে হত্যা করা হয়।

নিহতের স্ত্রী জলি খন্দকার বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একটা মানুষকে তারা মেরে ফেলল। এটা কীভাবে মানব। যারা তার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি করেন তিনি।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দশ বারো দিন আগে ওই এলাকায় গিয়ে নিজের লোকদের নিয়ে মিটিং করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। আর হত্যাকাণ্ডের পর ওহাব সাহেবের নামে স্লোগান দিয়ে গেছে হামলাকারীরা। এতে প্রতীয়মান হয় এ হত্যাকাণ্ডে তার লোকজন জড়িত। এলাকার আধিপত্য বিস্তারে তার ইন্ধনে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব বলেন, দুই পক্ষই উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থক। নারী ঘটিত একটি পূর্ব বিরোধের জেরে মূলত এই হত্যাকাণ্ড। এখানে আমার কোনো ইন্ধন বা সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে তারা।

সড়কে ঝরল খালা-ভাগনের প্রাণ

পাবনায় মাহফিলের পাশে দোকান বসানো নিয়ে বিরোধ, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

চাটমোহরে সমতল জমিতে কমলা চাষে সম্ভাবনা, সফল কৃষক খয়বর

মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, একজনের ছেলেকে মারধর

সংগীতশিল্পী ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রলয় চাকী আটক

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন

পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি

নিজামী-গোলাম আযমকে দেশপ্রেমিক বলায় ছাত্রদল-শিবির হট্টগোল

পাবনায় মদ পানে ২ যুবকের মৃত্যু