পাবনা সাঁথিয়া উপজেলায় বাড়িঘর ভাঙচুরের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় সাংবাদিকদের গালিগালাজ ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষে সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আটক দুজন হলেন রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির সরদার (৪২) ও হেলাল সরদার (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি গ্রামে তৈয়ব আলীর বাড়িঘর ভাংচুরের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার সাঁথিয়া প্রতিনিধি মানিক মিয়া রানাসহ কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন প্রতিদিনের সংবাদের পাবনা জেলা প্রতিনিধি খালেকুজ্জামান পান্নু, আরটিভির পাবনা উত্তর প্রতিনিধি তাইজুল ইসলাম, মোহনা টিভির পাবনা পূর্ব প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন, আনন্দ টিভির সাঁথিয়া প্রতিনিধি মনোয়ার পারভেজ মানিক এবং মানবকন্ঠের সাঁথিয়া প্রতিনিধি এম জে সুলভ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙচুরকৃত ঘরবাড়ির ছবি তোলার সময় উল্লেখিত সাংবাদিকদের বাধা দিয়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন দুই ভাই নাসির ও হেলাল। তাঁরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী বলে দাবি ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের।
একপর্যায়ে আরটিভির প্রতিনিধি তাইজুল ইসলাম ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাঁর হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং আনন্দ টিভির সাঁথিয়া প্রতিনিধি মনোয়ার পারভেজ মানিকের বুম ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবগত করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকেরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে নাসির ও হেলাল নামের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা বাদী হয়ে দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’