মৌসুমি আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট জোয়ারে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া, তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রবল জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে চানন্দীর দুটি, নলচিরার একটি ও নিঝুম দ্বীপের সবগুলো ওয়ার্ড। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ইউনিয়নগুলোর কয়েক হাজার মানুষ।
আজ রোববার সকালের প্লাবিত হয় এলাকাগুলো। এর আগে গতকাল শনিবার প্রচণ্ড বাতাস ও জোয়ারে কারণে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইচরা, পশ্চিম সোনাদিয়া, তমরদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া, চরইশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রাম ও চরকিং ইউনিয়নের চরবগুলা গ্রামের বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গিয়ে পানি ঢুকে যায়। এ ছাড়া চতুর্থ দিনেও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় দ্বীপের নলচিরা, ডালচর ও চরগাসিয়ার নিম্নাঞ্চল। আজও ওই সব এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে আছেন। ফলে প্লাবিত এলাকাগুলোর যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলসহ ছোটখাটো কয়েকটি যানবাহন চললেও পানিতে ডুবে সেগুলো বিকল হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দিনাজ উদ্দিন বলেন, ‘নিঝুম দ্বীপে জোয়ারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের বীজতলা। কিছুদিন আগে লাগানো বীজতলা চার-পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খেতে থাকা ধানের চারা। নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় অতিরিক্ত জোয়ার হলেই মাঠঘাট ডুবে যায়।’