নোয়াখালীর হাতিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ শিকার করায় ২৯ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা। এ সময় জালসহ দুটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় আটক জেলেদের ২৭ জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক জেলেদের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলায়।
এর আগে আজ রোববার বিকেলে নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে এসব ট্রলার জব্দ করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, প্রতিদিনের মতো উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী নেতৃত্বে নিঝুম দ্বীপ নৌ-পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় নদীতে মাছ শিকার করা অবস্থায় দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়।
এ সময় ট্রলারে থাকা ২৯ জেলে সবাইকে আটক করে তমরদ্দি ঘাটে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী সবাইকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জব্দ করা ট্রলার দুটি মৎস্য অফিসের অধীনে নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন।
ইউএনও সুরাইয়া আক্তার লাকী জানান, আটক জেলেদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ট্রলার দুটি নিঝুম দ্বীপ চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মা দেওয়া হয়। ২ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী বলেন, ‘কিছু কিছু জেলে রাতে নদীতে মাছ শিকারে যায়। গত কয়েক দিন থেকে এ ধরনের সংবাদ আসছে। এ জন্য রাতে ও দিনে আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’