হোম > সারা দেশ > নোয়াখালী

৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ পদ খালি, রোগী দেখেন চিকিৎসকের সহকারী

জসিম মাহমুদ,চাটখিল (নোয়াখালী)  

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় প্রায় তিন লাখ মানুষের বাস। উপজেলার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি করলেও নেই সঠিক সেবা। এখনও পর্যন্ত সেখানে ৫০টি পদ খালি পড়ে রয়েছে। যার কারণে সেবা ব্যহত হচ্ছে। অল্প সংখ্যক কর্মচারি দিয়ে চলছে তিন লাখ মানুষের সেবার জন্য তৈরি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও খালি রয়েছে ১০টি। কার্ডিওলোজি, চর্ম ও যৌন, ইএনটি, চক্ষু, গাইনী, অর্থোপেডিক্স, শিশু, সার্জারী, এ্যানেসথেসিয়া ও মেডিকেল অফিসার এবং ইউনানিসহ ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ রয়েছে সেখানে। এছাড়া স্বাস্থ্য সহকারি ৪৫ টির মধ্যে ১২টি, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ২০ টির মধ্যে ৬টি, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স (মিডওয়াইফারি) ৪ টির মধ্যে ২টি, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৩টির মধ্যে ২টি, মেডিকেল অফিসার (ইনডোর) একটির মধ্যে একটি, সহকারী সার্জন ১০টির মধ্যে একটি, প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক একটির মধ্যে একটি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ৩টির মধ্যে একটি পদসহ অন্যান্য বিভিন্ন পদে মোট ৫০টি পদ দীর্ঘ দিন থেকে খালি।      

 স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না পেয়ে এলাকার মানুষ জেলা শহরে গিয়ে অনেক অর্থ ব্যয় করছে। যাদের সেই সামর্থ নেই তাঁরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  

এ দিকে যে কয়জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন তারা অতিরিক্ত কাজ করছেন। যার কারণে সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। করোনার সময়ে অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় পুলিশ এনে রোগীদের নিয়ন্ত্রন করতে হয়।

হাসপাতালের প্রশাসানিক শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, জনবল সংকটের কারণে তারা অতিরিক্ত কাজ করে হাঁপিয়ে উঠছেন। তারা সঠিকভাবে সেবা দিতেও পারছেন না। 

গত সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে ডা. আবু ইব্রাহীম অপুর রুমে কয়েকজন অভিভাবক তাদরে শিশুদেরকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে বহিরাগত এক ব্যক্তি চিকিৎসা দিচ্ছেন দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক গিয়ে ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে জৈনক ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তার আবু ইব্রাহীম অপুর সহকারি দাবি করেন।

এই ব্যাপারে ডা. আবু ইব্রাহীম অপুর সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, ডা. অপু প্রাইভেট ক্লিনিকে চেম্বার করতে গেলে ঐ ব্যক্তিকে তাঁর দায়িত্বে রেখে যান। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ সকল বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জনকে বারবার জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ ইফতেখারের বলেন, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।

সুবর্ণচরে নদীভাঙন: ২ বছরে ভিটেমাটি হারা চার হাজার পরিবার

নোয়াখালীতে ব্যানার, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করছে প্রশাসন

হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে ভয় পাবে না: হান্নান মাসউদ

নোয়াখালীর হাতিয়া: চর দখলের মচ্ছব, গরু-মহিষের খাদ্যসংকট

হাতিয়ায় বিপুল খাদ্যদ্রব্যে ভরা বোটসহ ১২ পাচারকারী আটক

বিএনপি-জামায়াতসহ সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান

ঠান্ডাজনিত রোগে সাত দিনে পাঁচ শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীতে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা, নিহত ১

নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা