নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজীবের মরদেহ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজিবাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবিরের চার কর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় চলতি বছরের গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত নিহতদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর নিহত শিবিরকর্মী সজীবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের অপর তিন কর্মী হলেন সাইফুল ইসলাম, আবদুল আজিজ রায়হান ও সাইফুল ইসলাম বাবলু। তাঁদের মরদেহ পর্যায়ক্রমে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনেরা।
২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের চার নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।