নোয়াখালী জেলা কারাগারে বদিউল আলম (৭৬) নামের অসুস্থ এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গত মাসে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত বদিউল আলম সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
জেল সুপার ফণী ভূষণ দেবনাথ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর বদিউল আলমকে গ্রেপ্তার করে সেনবাগ থানার পুলিশ। ওই দিন বিকেলে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে বয়স্ক হাজতিদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। কারাগারে আনার পর থেকে তিনি ওই ওয়ার্ডে ছিলেন। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। পরে কারাগার হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বদিউল আলম নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলা কারাগারে আসেন। তার হাজতি নম্বর ৪৮৩১ / ২১।
জেলা পুলিশ সুপার মো শহীদুল ইসলাম জানান, মৃত হাজতির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।