নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেওয়া জমি দখল ও তাঁদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। সেই সঙ্গে তাঁরা ভূমিগুলো পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের কাজীরার চরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
ভূমিহীনেরা জানান, ২০১৩ সালে সরকারিভাবে গাংচিল গ্রামের ৬ শতাধিক ভূমিহীনকে দেড় একর করে খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বন্দোবস্ত পাওয়ার পর তাঁরা সেখানে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ২০২২ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় পাশের ধানসিঁড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জমিগুলো দখলের উদ্দেশ্যে ভূমিহীনদের ওপর হামলা চালান। তিনি ভূমিহীনদের মারধর ও বসতঘর ভাঙচুর করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে ভূমি নিয়ে যান। একই সঙ্গে পাশের নোয়াখালী খালের একটি অংশ দখল করে নেন। ফলে সর্বশেষ বন্যায় পানিবন্দী হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন এলাকার মানুষ।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, কামাল উদ্দিন জমি দখলে নিয়ে পরে তা চট্টগ্রামের একটি কোম্পানির কাছে ৩০ কোটি টাকায় লিজ দিয়ে দেন। ওই কোম্পানি এখানে মাছের খামার করে। বিভিন্ন সময় ভূমিহীনেরা নিজেদের জমিতে আসতে চাইলে সাবেক দুই চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রামের কোম্পানিটির লোকজন তাঁদের মারধর করেছেন। সরকারিভাবে পাওয়া এই ভূমি পুনরায় বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বন্দোবস্তের কিছু জমি ভূমিহীনেরা টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করেছেন বলে অভিযোগ ছিল। গাংচিলে কেউ যদি হস্তান্তর করে থাকেন তাহলে দখল করা ওই ভূমি উদ্ধারের পর নতুন ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
খাল দখলের বিষয়ে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন, খবর নিয়ে এটি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।