নরসিংদীর পলাশ ও শিবপুর উপজেলায় পৃথক দুই পুকুর থেকে হাবিব মিয়া (১২) ও সিফাত (৮) নামের দুই স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে ও শিবপুর উপজেলার ঘোড়ারগাঁও গ্রামে মরদেহ দুটি পাওয়া যায়।
মৃত হাবিব মিয়া জয়নগর গ্রামের আওলাদ মিয়ার ছেলে এবং ডাংগা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। অপর দিকে মৃত সিফাত শিবপুর উপজেলার কুমরাদী গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজের এক দিন পর শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, প্রতি বৃহস্পতিবার পাশের হাসনহাটার ফকিরা এলাকায় নানির বাড়িতে বেড়াতে যেত হাবিব। গতকালও সেখানে গেছে ধরে নিয়ে মা-বাবা তার খোঁজ নেননি। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জয়নগর গ্রামের একটি পুকুরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে হাবিব সাঁতার জানত, তা সত্ত্বেও কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে পুলিশ ও পরিবারের কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেনি।
পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাবিবের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। তবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন জানান, গতকাল সিফাত ফুফার বাড়ি বেড়াতে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। আজ সকালে ঘোড়ারগাঁও গ্রামের রুহুল আমিনের পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরিবারের ধারণা, পুকুরে নেমে পানিতে ডুবে সিফাতের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই ঘটনায়ই স্বজনদের পক্ষ থেকে হত্যার কোনো অভিযোগ করা হয়নি। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।