নরসিংদীর রায়পুরায় এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজন শিকদার হত্যা মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। আজ রোববার বিকেলের দিকে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচিতে নিহত পরীক্ষার্থীর সহপাঠী, শিক্ষক ও স্বজনেরা অংশ নেন।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে রাজন শিকদার বিকেলে সহপাঠীদের সঙ্গে আলীনগর বাজারে ক্যারম বোর্ড খেলছিল। এ সময় মধ্যনগরের জাহাঙ্গীর ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হয় বাঁশগাড়ী এলাকার এক অটোরিকশাচালকের। ঝগড়া থামাতে এগিয়ে যায় রাজনসহ আশপাশের লোকজন। পরিস্থিতি শান্ত হলে অটোরিকশাচালককে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয় তারা। কিন্তু জাহাঙ্গীর বিষয়টি সহজভাবে না নিয়ে সন্ধ্যায় তাঁর আত্মীয় পাড়াতলী ইউপি মেম্বার আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে আলীনগর বাজারে একটি দোকানে হামলা চালান।
সেখানে রাজনকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। হামলায় গুরুতর আহত রাজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গত শুক্রবার বিকেলে আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার নিহত রাজনের বাবা ফজলু মিয়া বাদী হয়ে ইউপি মেম্বার আশরাফুর রহমানসহ ১৬ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে বক্তারা বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী রাজনকে তুচ্ছ ঘটনায় পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর ১৬ জনকে আসামি করে মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। প্রধান আসামি ইউপি মেম্বারসহ জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি এবং কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সায়দাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক শাম্মী আখতার, নিহত রাজন শিকদারের ভাই রাসেল মিয়া, আল আমিন চৌধুরীসহ সায়দাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘নিহত রাজনের সহপাঠীরা থানা প্রাঙ্গণে এসে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে’