নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় দ্রুতগামী তেলবাহী লরির ধাক্কায় পারভিন আক্তার (৩০) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করেছেন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদমজী-চাষাঢ়া সড়কে ইপিজেডের গেটের সামনে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়ক বন্ধ থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেপরোয়াভাবে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এই সড়কে অনেক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গতকালও এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তাঁরা সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। তাই আজ সড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচারের দাবিতে তারা ১০-১৫ মিনিটের মতো সড়কে অবস্থান করেছিল। আমরা খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিই।’
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪ (নারায়ণগঞ্জ)-এর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকেরা আইনি প্রক্রিয়া না বুঝে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর এখনো দাফনকাজ সম্পন্ন হয়নি। পাশাপাশি এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলাও হয়নি। যদি পরিবার মামলা না করে, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। দোষীদের পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে আদমজী ইপিজেডের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় পারভিন আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের খালাতো ভাই মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমার বোন পারভিন আক্তার পোশাক কারখানা ইউএইচএম লিমিটেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল সকালের দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি তেলের লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পারভিন আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার শিবপুর গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে। বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় থাকতেন।