নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ এলাকার একটি বাসায় আগুনে দগ্ধ অভিজিৎ কুমার সিং (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি আছেন টুম্পা রানী দাস (২৮)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মৃত্যু হয় অভিজিতের। মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল।
তিনি জানান, অভিজিতের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি টুম্পা রানীকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আজ ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে বাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ টুম্পা রানী দাসের ছেলে বিশাল চন্দ্র দাস ও দূর সম্পর্কের দেবর জনি দাস জানান, তাঁরা নিতাইগঞ্জের একটি বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। টুম্পার স্বামী হরিকমল দুবাই প্রবাসী। দুই ছেলের মা টুম্পা। রাতে ফ্ল্যাটের এক কক্ষে টুম্পার দুই ছেলে ও দেবর জনি দাস ঘুমিয়ে ছিলেন।
তাঁরা আরও জানান, ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেলে তাঁরা দেখেন টুম্পা রানীর ঘরে আগুন জ্বলছে। টুম্পা ও অভিজিতের শরীরেও আগুন। তখন তাঁরা বাথরুম থেকে পানি এনে দুজনের শরীরে ঢালেন। এরপর ঘরের আগুনও নেভান। দগ্ধ দুজনকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
র্যাব সদস্য অভিজিৎ সম্পর্কে তাঁরা জানান, অভিজিতের পরিবার আগে তাঁদের পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তখন থেকে তাঁদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিজিৎ তাঁদের বাসায় আসেন। মাঝে মাঝে ওই বাসার ছাদে গিয়ে আড্ডা দিতেন তিনি। এ ছাড়া টুম্পা রানীর ছেলে বিশালকে পড়াশোনা বুঝিয়ে দিতেন। কিন্তু গভীর রাতে কীভাবে আগুন লাগল, সে বিষয়ে কিছুই অনুমান করতে পারছে না তাঁরা।
জানা গেছে, অভিজিৎ সিং র্যাব সদস্য। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।