একদিকে সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ, অপরদিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ—দুই কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যানবাহনের চাপ কম রয়েছে। মহাসড়কে দূরপাল্লার কিছু যানবাহন চলাচল করলেও আঞ্চলিক যানবাহন নেই বললেই চলে। ফলে চিকিৎসাসহ জরুরি কাজে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ।
আজ শুক্রবার দুপরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমনই চিত্র দেখা যায়।
এদিকে দুই দলের সমাবেশ ঘিরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মহাসড়কে চলছে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের তল্লাশি কার্যক্রম। তবে বাস চলাচলে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
সাইফুল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিমরাইল মোড়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বাস পেলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত গন্তব্যস্থলে আসতে পেরেছি। ছুটির দিনে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও এমন কখনো দেখিনি।’
মোস্তাক হোসেন নামের এক পরিবহনের চালক বলেন, ‘মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট থাকলেও চলাচল করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অন্যান্য দিনের তুলনায় সহজেই যাতায়াত করতে পারছি। আবার বাস কম থাকায় যাত্রীর চাপ কিছুটা রয়েছে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই এ কে এম শরফুদ্দিন বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় আজ থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ কম রয়েছে। তবে যাঁরা জরুরি কাজে বের হয়েছেন, তাঁরা সহজেই গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জনগণের সড়ক চলাচল করতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা সকাল থেকে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। তল্লাশি শেষ করেই যানবাহনগুলো ছেড়ে দিয়েছি। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর যানবাহন চলাচলে আমরা কোনো বাধা সৃষ্টি করছি না।’