ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাকশ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের ঢাকামুখী লেনের কুয়েত প্লাজার সামনে এএসটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকেরা এই অবরোধ করেন।
এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে মহাসড়কে প্রায় এক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চালাল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে পোশাকশ্রমিকেরা হঠাৎ সড়ক বন্ধ করে রাস্তা আটকে দিলে একাধিক বাস ও লেগুনাচালক এবং চালকের সহকারীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে শ্রমিকেরা স্বদেশ পরিবহনের এক চালকের সহকারীকে মারধর করেন।
এদিকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, এএসটি গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করে ১৫ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। পরে গোপনে কারখানার মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেয় মালিকপক্ষ। শ্রমিকেরা পাওনা আদায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে কারখানার সামনে গিয়ে সেটি বন্ধ পান। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মালিকপক্ষ কারখানার মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। এর প্রতিবাদে তাঁরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় গণপরিবহনের শ্রমিকেরা নারী পোশাকশ্রমিকদের মারধর করে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অফিসের কাজে যাওয়ার সময় সড়কে যানজট দেখতে পাই। একটু সামনে গিয়ে দেখি শ্রমিক ও বাসের হেল্পারদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হচ্ছে। এ সময় স্বদেশ পরিবহনের এক হেলপারকে মারধর করেন শ্রমিকেরা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এ বিষয়ে জানতে এএসটি গার্মেন্টসের উৎপাদন ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনূর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিকেরা তাঁদের বকেয়া পাওনার জন্য আজ সকালে কারখানার সামনে এলে জানতে পারেন, মালিকপক্ষ তাঁদের বকেয়া বেতন না দিয়ে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। এর প্রতিবাদে শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে আমরা এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিই। তাঁরা মহাসড়ক থেকে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’