নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হলে অটোরিকশার এক যাত্রী মদনপুরের আল-বারাকা হাসপাতালে মারা যান। পরে আহত ছয়-সাতজনকে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে আরও চারজনের মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকার শামসুদ্দিন খন্দকারের ছেলে নুর উদ্দীন (৪৫), অটোরিকশাচালক হানিফ, যাত্রী মামুন (৩০), জামাল মিয়া (৪২) এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের একজন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি জানান, কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে যাচ্ছিল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি। তাতে সাত-আটজন যাত্রী ছিল। তখন ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোতে থাকা সবাই আহত হয়। কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর বাকি ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ৩ জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল মিয়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা গেছেন। এ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন এ ঘটনায় মারা গেছেন। সবার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
অটোচালক আবু হানিফের ছোট ভাই মো. রতন জানান, তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পাটুলি গ্রামে। যাত্রাবাড়ী থানার পাশের এলাকায় থাকেন তাঁরা। ব্যাটারিচালিত অটো চালাতেন হানিফ।
নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. নবী হোসেন জানান, কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশাকে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে স্থানীয় হাসপাতালে নুর উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ও ঢাকা মেডিকেলে চারজন মারা যান। এই ঘটনায় ছয়-সাতজন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে গেছেন।