নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্রিজে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়া ৯ জনের বেশির ভাগের শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তারা সবাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, হাসানের শরীরের ৪৪ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, আসমার ৪৮ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ, শিশু ইমামের ৩০ শতাংশ ও আরাফাতের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শুধু তনজিল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টার দিকে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের রনি সিটি আবাসিক এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিরা হলো—হাসান (৩৭), সালমা (৩০), মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪), রাইয়ান (৪ মাস), আসমা (৩৫), তিসা (১৬), আরাফাত (১৩) ও তনজিল ইসলাম (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রনি সিটি আবাসিক এলাকার জাকির খন্দকারের টিনশেড ভাড়া বাড়ির একটি বাসায় ফ্রিজে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। পরে আগুন পাশের আরেকটি বাসায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুহূর্তেই ৯ জন দগ্ধ হয়।
আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. মিরণ মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ‘ফ্রিজের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ধরে। আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধদের পায়নি, তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।’
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার বলেন, ‘শিশুসহ দগ্ধ ৯ জন আমাদের এখানে এসেছে। তাদের মধ্যে সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে শুধু তানজিল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’