শ্বশুরবাড়ি থেকে রাগ করে বাবার বাড়িতে আসার পথে চলন্ত বাসেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গর্ভবতী নারী। এ সময় বাসে অন্য কোনো নারী না থাকায় একাই সন্তান প্রসব করেন তিনি। অন্য কেউ না থাকায় মা-সন্তান উভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভুলতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গর্ভবতী নারীর নাম ফাতেমা খাতুন (২২)। তিনি নাটোর জেলার আটঘরিয়া গ্রামের শাহীন মিয়ার স্ত্রী। তাঁর দুই বছরের আরও একটি সন্তান রয়েছে।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) নাজিমউদ্দীন জানান, নাটোর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আরপি পরিবহনের (নাটোর ব-১১-০০৪৯) একটি যাত্রীবাহী গাড়িতে ওই সন্তানসম্ভবা নারী প্রসববেদনায় চিৎকার করতে থাকেন। গাড়িতে কোনো নারী যাত্রী না থাকার কারণে বাসের চালক নাইম মিয়া ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় বাসটি থামায় পুলিশ। ততক্ষণে চলন্ত বাসেই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু চলন্ত বাসে সন্তান প্রসব করায় মা-সন্তান উভয়ে অসুস্থ ছিলেন। এ অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তারদের আন্তরিক সেবায় অল্পসময়ে মা-ছেলে উভয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তা ছাড়া মানবিক কারণে চিকিৎসার কোনো খরচও নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে পরিবারকে ফোনে খবর দিলে তাঁরা এসে মা-ছেলেকে বাসায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ফাতেমা খাতুন জানান, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের অত্যাচারে নাটোর থেকে নিজ পিত্রালয় রাজধানীর ডেমরায় ফেরার পথে বাসের মধ্যেই তাঁর প্রসব ব্যথা ওঠে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে না পাঠালে তিনি অথবা তাঁর সন্তান হয়তো মারা যেত। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের আন্তরিক ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।