নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় একমাত্র আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এই রায় দেন। মামলার অন্য দুই ধারায় আসামিকে যথাক্রমে আরও সাত ও দশ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হাসান নাজু (৩৯) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার জালা উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের রসূলবাগ এলাকায় একটি বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি নাজমুল যেই বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করত সেই বাড়িতেই ভুক্তভোগী পরিবার থাকত। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মজীবী হওয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় ছেলেকে বাসায় রেখে যেত। বাসার নিচে খেলাধুলার সময় বাচ্চাটির ওপর কুনজর দেন আসামি।
২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শিশুটিকে নেশাজাত দ্রব্য সেবন করায় নাজমুল। এরপর স্টোর রুমে নিয়ে ২০ টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতনে শিশুটি আর্তচিৎকার করলে সেখানেই শ্বাসরোধে হত্যা ও লাশ গুম করে। এরপর পালিয়ে চুয়াডাঙ্গা চলে যায় সে।
ঘটনার পরদিন স্টোর রুমে দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। থানায় মামলা দায়েরের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা থেকে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত এই রায় প্রদান করেছে।