নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের আত্মীয়স্বজনদের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ তৃতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পুনরায় এ কাজ শুরু হয়। মরদেহ শনাক্তে বাবা-মা উভয়েরই নমুনা নেওয়া হচ্ছে। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে নেওয়া হচ্ছে ভাই–বোনের ডিএনএর নমুনা।
সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় দিনে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করছি। মরদেহগুলো খুব বেশি পুড়ে যাওয়ায় শুধু হাড় ও দাঁতের নমুনা নিতে পেরেছি। টিস্যু থেকে নমুনা নিতে পারলে ফলাফল আসতে কম সময় লাগত। কিন্তু সেটা পারা যায়নি। সে জন্যেই ২১ দিনের কথা বলা হচ্ছে। সময় বেশিও লাগতে পারে। আজকেও এখানে আমাদের কার্যক্রম চলবে।'
সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষক দীপঙ্কর দত্ত জানান, `দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ৪৩ মরদেহের বিপরীতে ৬২ জন দাবিদারদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ৫২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৪৮টি মরদেহ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।