নবম শ্রেণি পড়ুয়া আঁখি খুঁজতে এসেছে মায়ের লাশ। বুধবার রাতে মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল তার। বৃহস্পতিবার খুব সকালে মা যখন কাজে বেরিয়েছেন তখনও ঘুমিয়েই ছিল আঁখি। আজ শুক্রবার বিকালে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের কারখানার একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল তাকে। যে ভবনে আগুন লেগে মায়ের মৃত্যু হয়েছে সেই ভবনের দিকে তাকিয়ে আছে সে।
মায়ের কথা জানতে চাইতেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে আঁখি। তার চোখের জল কাঁদিয়েছে উপস্থিত অনেককেই। তার গগনবিদারী কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। মা হারা আঁখিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা জানা নেই কারোরই।
ভুলতা গাউছিয়া এলাকার মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে আঁখি। সে এসেছে মায়ের লাশ খুঁজতে। সঙ্গে প্রতিবেশী কয়েকজন। তাঁরা জানান, বড় ভাই দেলোয়ার ঢাকা মেডিকেলের মর্গে মায়ের লাশ খুঁজতে গেছেন। আঁখির বাবা ভুলতা এলাকায় চায়ের দোকান চালান।
আঁখির মতো এমন অনেকেই সেখানে এসেছেন। তাঁরাও স্বজনের লাশ খুঁজে ফিরছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার আগুন কেড়ে নিয়েছে আঁখির মতো অনেকেরই আপনজন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়েছেন কেউ কেউ।
নিখোঁজের তালিকাটা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। আরও অনেক মানুষ তাঁদের স্বজনদের খোঁজে ভিড় করছেন পুড়ে যাওয়া কারখানাটির আশেপাশে।