হোম > সারা দেশ > নড়াইল

বাবাকে না জানিয়ে মামার বাড়িতে মেয়ের বিয়ে, সংঘর্ষে আহত ৭

প্রতিনিধি নড়াইল

লোহাগড়া থানা। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়ায় বাবাকে না জানিয়ে মামারা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন মেয়ের বাবা শরিফুল জমাদ্দার (৪৫), মনির হোসেন (৪০), তানভীর হোসেন (৩৩), শিমুল শিকদার (৩২), রুমি মোল্যা (৪০), সুমি মোল্যা (৩৮) ও জিয়ারুল ইসলাম (৩০)। তাঁরা সবাই লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামের বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে মামা মামুন মোল্যা ও বিপুল মোল্যা শরিফুলের ছোট মেয়ে ইতির বিয়ে দেন। শরিফুলের মতামত না নিয়ে মেয়ের বিয়ে দেওয়ায় তিনি খেপে গিয়ে মেয়ের মামাদের গালাগাল করেন। মেয়ে বিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শেষে হাতাহাতি হয়। পরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কলহ মেটাতে জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এম শরিফুল আলম এবং আকতার হোসেনের উপস্থিতিতে চাচই এলাকায় সালিস বসে। সালিসের একপর্যায়ে বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে সাতজন আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে মেয়ের বাবা শরিফুল, জিয়ারুল ও শিমুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ইতির বাবা শরিফুল বলেন, ‘মেয়ে আমার। অথচ আমাকে না জানিয়ে মেয়ের মামারা তাকে বিয়ে দিয়েছে। বিষয়টির ব্যাপারে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয়।’ ইতির মামা রুমি ম্যোলা বলেন, ‘ভাগনি ইতি আমাদের বাড়িতে মানুষ হয়েছে। আমরা ভালো মনে করে তাকে বিয়ে দিয়েছি। মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার খবর শুনে ইতির বাবা শরিফুল আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের ওপর চড়াও হয়।’

সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ও আকতার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসার জন্য জমাদ্দার ও মোল্যা বংশের লোকজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের লোকজন সালিসে বসলে উভয় পক্ষের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হন। পরে সালিস ভেস্তে যায়।’

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চিত্রা নদীতে ভেসে এল নারীর লাশ, মুখ বাঁধা মাফলারে

বসতঘর থেকে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত

সালিস শেষে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

জমি নিয়ে বিরোধে কিশোর আলিফকে হত্যা, দাবি মায়ের

নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা

নড়াইলে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নড়াইলে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু, মায়ের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড