জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় স্কুলছাত্রী সোমা আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৃতের পরিবার। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের সমানে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে মৃত সোমা আক্তারের বাবা জুলফিকার আলী বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে আসামি ইয়াছিনের সম্পর্ক ছিল। সোমাকে ধর্ষণ করেছে ইয়াছিন। আমরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে ইয়াসিনের পরিবার ফিরিয়ে দেয়। এরপরেই আমার মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পরেই মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করি। আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তাঁরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে ও আমাদের হুমকি দিচ্ছে।
মৃতের মামা রবিজল বলেন, ‘সাবেক কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন কালুর ছেলে ইয়াছিনের জন্য আমার ভাগনি আত্মহত্যা করেছে। মামলা করা হলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না। দ্রুত ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি করছি।’
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে দিবাগত রাতে উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা বৈঠাখালি এলাকার নিজ বাড়িতে সোমা আক্তারের বিষ পান করে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরদিন রোববার সকাল ১০টার দিকে সোমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে পুলিশ। রাতে তার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মৃত সোমা আক্তার মেলান্দহ রাবেয়া ইসলাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।