মাত্র দুই কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় মেলান্দহ উপজেলার চারটি গ্রামের মানুষকে ২০ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন।
উপজেলা ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে দক্ষিণ ছবিলাপুর আজিমুদ্দিনের মোড় থেকে কাহেতপাড়া বাজারে যাওয়ার দুই কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন হয়নি। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার একাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে এ রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পানি জমে আছে। ফলে রাস্তা দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। কাদার জন্য এলাকায় যানবাহন আসতে চায় না। এর ফলে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষদের। বৃষ্টি হলে কাদামাটিতে পিচ্ছিল হয়ে হাঁটতে কষ্ট হয় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, এই রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ ছবিলাপুর, ছবিলাপুর আকন্দপাড়া, কাহেতপাড়া, নাগেরপাড়া, একটি হাই স্কুল ও একটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ চার গ্রামের মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলে মেয়েরা কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের কে জি এস উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি শেখ কামাল কলেজে যাতায়াত করে।
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বলেন, মির্জা আজম (এমপি) রাস্তাটি দেখে গেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই রাস্তাটি পাকা হয়ে যাবে।
মেলান্দহ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মাজেদুল রহমান বলেন, `রাস্তার সার্বিক খোঁজ অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে। আমাদের রাস্তার পাকাকরণের তালিকায় রয়েছে ওই রাস্তাটি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।'